প্রকাশিত: ০৬/১২/২০১৭ ৮:৫৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:০২ এএম

বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলার সালেহ নূর গেষ্ট হাউস থেকে বিশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ইয়াবা সম্রাট মোঃ শাহেদ সহ ৪ জনকে উক্ত মামলায় আসামী করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের ডিএডি মোঃ আবুল কালাম। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দায়ের হওয়া এ মামলাটি তদন্ত করছেন এস আাই দেবব্রত রায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মংগলবার দুপুরে উপরোক্ত হোটেলে অভিযান চালায় র্যাবের চৌকস একটি দল। স্হানীয়রা জানান, ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসার নিরাপদ অাড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে শহরের ঝাউতলার সালেহ নূর গেষ্ট হাউস।
সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন ছৈয়দ নূরের মালিকানাধীন ঝুপড়ি টাইপের উক্ত হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যাবসা ও পতিতা ব্যাবসা চলে আসছে। ছৈয়দ নূরের ছেলে ইয়াবা সম্রাট শাহেদ এসব অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
র্য্যাব -৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ রুহুল আমিন জানান, উপরোক্ত হোটেলে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্যেশ্যে অবস্হানের খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৩ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য আশি লক্ষ টাকা হবে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইয়াবা ব্যাবসার মূলহোতা শাহেদ এসময় পালিয়ে যায়। তবে জালালালাবাদ ইউনিয়নের মোহনভিলা গ্রামের মোঃ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন (২১), টেকনাফের খয়রাতি পাড়ার মোঃ হোসেনের ছেলে ইউছুফ (২০) ও হলবুনিয়ার মৃত নূরুল আলমের ছেলে জাকির হেসেন (২৭)কে আটক করে র্যাব।
স্হানীয়রা জানান, এর আগেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর উক্ত হোটেল থেকে ৭ জন পতিতাসহ শাহেদকে আটক করে থানায় নিয়ে যান সদর মডেল থানার এ এস আই দেলোয়ার।
স্হানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহর ও হোটেল মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে পতিতা ও মাদক সরবরাহ করা হচ্ছে উক্ত সালেহ নূর গেষ্ট হাউস থেকে। আগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পতিতা সংগ্রহ করে আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নীরিহ মেয়েদের ফুসলিয়ে এনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করছে এরা। রোহিঙ্গা যুবতীদের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ ও পাচারের অভিযোগও রয়েছে উক্ত শাহেদের বিরুদ্ধে। সরকারী চাকরি করলেও পিয়ন ছৈয়দ নূর ইয়াবা ও পতিতার মত অনৈতিক ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে হোটেলের কাউন্টারে বসে সারাদিনের অনৈতিক ব্যবসার হিসাব নেয় ছৈয়দ নূর। সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে পিয়ন পদে কর্মরত আছে এ ছৈয়দ নূর।

পাঠকের মতামত

জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমন কক্সবাজারের সাত মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিল পুলিশ

এ এইচ সেলিম উল্লাহ:: স্বৈরাচার হাসিনার পতনের আগে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কক্সবাজারের সাত মামলার ...

সাবেক এমপি জাফরসহ ৯৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়া ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল-বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ...

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ছিল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের মহড়া – মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ ...